আজকের ব্লগে আমি কথা বলব Legacy Bios আর UEFI Bios এর মধ্যকার পার্থক্যগুলো নিয়ে।
সবার আগে জানা প্রয়োজন BIOS কি আর কিভাবে কাজ করে। BIOS হচ্ছে একটা ছোট অপারেটিং সিস্টেম। BIOS এর মুল কাজ হচ্ছে আপনার পিসি চালু করে দেওয়া, OS লোড করে দেওয়া। আপনি যখন পাওয়ার বাটনে ক্লিক করেন তখন BIOS চালু হয়ে প্রথমে সব কিছু ঠিক আসে কিনা টা চেক করে। BIOS সবার আসে motherboard এর সব components তথা hardware চেক করে দেখে, যদি ঠিক থাকে তখন HDD তে গিয়ে OS খুঁজে OS কে Ram এ পাঠায়। Ram সেটাকে প্রসেসস করে CPU তে পাঠায়। এর পরে BIOS এর কাজ শেষ হয়ে যায়। এর পর থেকে সব কাজ করে CPU.
BIOS এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে ঃ Basic Info/Output System.
BIOS Structure :
Power On
↓
Reads First Instruction Form ROM
↓
Post Power On Self Test
↓
Boot Up SEQUENCE
UEFI Bios এর পূর্ণরূপ : Unified Extensible Firmware Interface
Legacy Bios vs UEFI Bios :
1. Legacy Bios CUI ইন্টারফেসে তৈরি আর UEFI Bios GUI ইন্টারফেসে তৈরি। CUI এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে, Character User Interface.আর GUI এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে, Graphical User Interface. CUI এ শুধু মাত্র কীবোর্ড কাজ করে আবার কোন চিত্র থাকে নাহ শুধু লিখা থাকে। অপরদিকে, GUI এ চিত্র থাকে শুধু তাই নয় মাউস, কীবোর্ড সবই কাজ করে বিধায় কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
2. Legacy Bios ২ টিবি অব্দি হার্ডডিস্ক সাপোর্ট করতে পারে। এর বেশি পরিমানের হার্ডডিস্ক পিসি-তে লাগালেও ২ টিবি-ই শুধু ব্যবহার করা যাবে হার্ডডিস্ক থেকে। কিন্তু, UEFI Bios ৯ যিবি (ZB) পর্যন্ত হার্ডডিস্ক সাপোর্ট করে। যদিও বর্তমানে এতো বড় হার্ডডিস্ক নেই কিন্তু ১৬ টিবি তো আছে।
3. Legacy Bios GPT সাপোর্ট করে না শুধু MBR সাপোর্ট করে। কিন্তু UEFI Bios MBR, GPT দুটোই সাপোর্ট করে। GPT হচ্ছে, GUID Partition Table. MBR এ শুধু মাত্র ৪টা পার্টিশন তৈরি করা যায় কিন্তু GPT ১২৮ টা পার্টিশন সাপোর্ট করে।
4. Legacy Bios এর বুট স্পীড সর্বোচ্চ হচ্ছে ১৬ বিট। যেখানে, UEFI Bios ৩২ ও ৬৪ উভয় বিট সাপোর্ট করে। বিট কম হওয়ার ফলে দেখা যায় অনেক ভালো মানের পিসিও MBR এ ১-২ মিনিট সময় নেই শুধু মাত্র বুট হয়ে অন হতে।
5. Legacy Bios যেহেতু অনেক আগের তাই আপডেট না থাকার ফলে unsecure. UEFI Bios অপরদিকে প্রতিনিয়ত আপ-টু-ডেট রাখে manufacturer company গুলো তাই ব্যবহার করা secure.
0 Comments