মেমোরি কার্ড কেনার পূর্বে করণীয় --- যে সকল বিষয় জানা প্রয়োজন ---

বর্তমান সময়ে নানা কাজে আমাদের প্রতিনিয়ত স্টোরেজ প্রয়োজন পরে। ফলে দেখা যায় ফোনে দেওয়া স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে ফোন স্লো হতে শুরু করে। তাই আমাদের প্রয়োজন পরে মেমোরি ডিভাইস কিনার। কিন্তু মেমোরি কার্ড  কিনতে গেলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়, কারণ বাজারে রয়েছে অনেক ধরনের মেমোরি কার্ড। সবগুলো দেখতে একরকম হলেও দাম ও মান সমান নয়।


বাজারে মূলত ৩ ধরণের আর ৪ ক্লাসের মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়।
স্টোরেজ সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে বাজারে ৩ ধরণের মেমোরি কার্ড রয়েছে,
১.    MicroSD
২.    MicroSD HC
৩.    MicroSD XC

MicroSD
MicroSD ৪ জিবি স্টোরেজ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

MicroSD HC
MicroSD HC ৪ জিবি থেকে ৩২ জিবি স্টোরেজ পর্যন্ত হতে পারে।

MicroSD XC
MicroSD XC কার্ডগুলো ৩২ জিবি থেকে ২ টেরাবাইট স্টোরেজ পর্যন্ত হয়ে থাকে।


স্টোরেজ স্পীডের উপর ভিত্তি করে কার্ডগুলোকে ৪টি ক্লাসে বিভক্ত করা হয়েছে।
১. Class 2
এই ক্যাটাগরির কার্ডগুলোর ফাইল ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে সর্বচ্চো ২ মেগাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

২. Class 4
এই ক্যাটাগরির কার্ডগুলোর ফাইল ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে সর্বচ্চো ৪ মেগাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

৩. Class 6
এই ক্যাটাগরির কার্ডগুলোর ফাইল ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে সর্বচ্চো ৬ মেগাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

৪. Class 10
এই ক্যাটাগরির কার্ডগুলোর ফাইল ট্রান্সফার রেট প্রতি সেকেন্ডে সর্বচ্চো ১০ মেগাবাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কিভাবে দেখবেন আপনার মেমোরি কার্ড কোন ক্যাটাগরির ক্যাটাগরির, কত স্পীডের

প্রতিটি মেমোরি কার্ডের গায়ে MicroSD -এর নিচে লিখা থাকে সেটা কোন ধরণের কার্ড। আর যদি শুধু MicroSD থাকে তাহলে সেটা প্রথম ধরণের কার্ড যার সর্বচ্চো ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে ৪ জিবি।

এর পরে লিখা থাকে স্পীড কত যাহ ক্লাস দিয়ে ডিফাইন করা হয়ে থাকে। class এর পরে যেই সংখ্যা থাকবে সেটাই আপনার মেমোরি কার্ডের সর্বচ্চো ডাটা ট্রান্সফার স্পীড। কিন্তু মনে রাখবেন কোন স্টোরেজ ডিভাইস সবসময় তার সম্পূর্ণ স্পীডে চলে নাহ। স্পীড ফাইল, ফাইলের ধরণ ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে।


কোন কাজের জন্য কোন মেমোরি কার্ড প্রয়োজন
কাজের উপর ভিত্তি করে আপনাকে আপনার মেমোরি কার্ডটি নির্বাচন করতে হবে।
১.    আপনি যদি SD কন্টেন্ট দেখতে চান বা গান শুনতে চান অথবা রেকর্ড করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন ক্লাস ৪ মেমোরি কার্ড।

২.    আপনি যদি HD কন্টেন্ট দেখতে চান অথবা রেকর্ড করতে চান তাহলে, আপনার প্রয়োজন ক্লাস ৬/১০ মেমোরি কার্ড।

৩.    বর্তমান সময় রয়েছে, 2k, 4k কন্টেন্ট, এই গুলো দেখতে হলে আপনার প্রয়োজন পরবে U class মেমোরি কার্ড। রেকর্ড করতে চাইলেও প্রয়োজন হবে এই ক্যাটাগরির কার্ড।

৪.    আর আপনি যদি 8k ভিডিও কন্টেন্ট দেখতে চান অথবা রেকর্ড করতে চান, তাহলে আপনার প্রয়োজন পরবে V4, V5 কার্ড


U class এর বিস্তারিত

U class এর তিনটি বিভাগ রয়েছে, U1, U2, U3.
U1 এর স্পীড সর্বচ্চো 10 মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার পর্যন্ত
U2 এর স্পীড সর্বচ্চো 20 মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার পর্যন্ত 
U3 এর স্পীড সর্বচ্চো 30 মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার পর্যন্ত 


V class এর বিস্তারিত

V class হচ্ছে মেমোরি কার্ডের জন্য সর্বচ্চো ক্যাটাগরির। U class এর মতো V class এর পাঁচটি বিভাগ রয়েছে, V1, V2, V3, V4, V5.
V1 এর স্পীড সর্বচ্চো 6 মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার পর্যন্ত
V2 এর স্পীড সর্বচ্চো 10 মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার পর্যন্ত
V3 এর স্পীড সর্বচ্চো 30 মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার পর্যন্ত
V4 এর স্পীড সর্বচ্চো 60 মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার পর্যন্ত
V5 এর স্পীড সর্বচ্চো 90 মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফার পর্যন্ত



মেমোরি কার্ড ভালো রাখার জন্য করণীয়
আমরা যখন নতুন মেমোরি কার্ড কিনে আনি তখন সেটা অনেক ভালো কাজ করলেও কিছু মাস পরে দেখা যায় যে পূর্বের ন্যায় আর কাজ করছে নাহ। অনেক সময় দেখা যায় corrupter হয়ে যায় নিজে থেকেই। প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসেরই প্রয়োজন পরে ভালো রক্ষণাবেক্ষণের। মেমোরি কার্ডও এর ব্যতিক্রম নয়।


১.    মেমোরি কার্ড কে পেন্ড্রাইব হিসাবে ব্যবহার করা যাবে নাহ। 

২.    কম্পিউটারে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ভালো কার্ড রিডার ব্যবহার করতে হবে।

৩.    মেমোরি কার্ড এর ৩০% জায়গা খালি রাখতে হবে।

৪.    প্রতি মাসে একবার করে এন্টিভাইরাস দিয়ে কার্ড স্কেন করতে হবে এবং শর্টকাট ফাইল গুলো ডিলিট করতে হবে।

৫.    যদি কোন প্রয়োজনে মেমোরি কার্ড ডিভাইস থেকে খুলে রাখতে হয় তাহলে কোন বক্সে রাখুন পকেট বা কোন কিছুর নিচে রাখা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় পিন নষ্ট হতে পারে।

৬.    প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর মেমোরি কার্ডটি ফরম্যাট করুন।


For Any Help :-

FB page :- Click here

Direct massage :- Click Here

FB Group :- Click Here

YouTube :- Click Here

Post a Comment

0 Comments